[rev_slider_vc alias=”slider1″]

প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

মাছে ভাতে বাঙ্গালি” এই প্রবাদটিকে লক্ষ্য রেখেই সাদাত এগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিজ লিঃ এর যাত্রা শুরু হয়েছে। শেরপুর জেলাসহ দেশের মৎস্য ঘাটতি পূরণ, কৃষি ও কৃষিজাত দ্রব্য উৎপাদন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র বিমোচন, মাছের খাদ্য ঘাটতি পূরণ ও মাছের রেণু উৎপাদন করে নিজস্ব চাহিদা পূরণ এবং বিভিন্ন জেলায় রেণু সরবরাহ করা সাদাত এগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিজ লি: এর প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।

প্রকল্প
মাছ
গাছ
জমির পরিমাণ (একর)

সাদাত এগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিজ লিঃ এর সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ

 

২৭ অক্টোবর ২০১৪ ইং তারিখে শেরপুরের প্রাণকেন্দ্র হাওড়া নিজ, ৭নং ভাতশালা, শেরপুর সদর, শেরপুরে সাদাত এগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিজ লিঃ প্রকল্পটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রকল্পটির স্বতাধিকারী তরুণ শিল্পপতি ও বিশিষ্ট সমাজসেবক মোঃ সাদুজ্জামান সাদী, পিতা: আলহাজ্ব মোঃ জয়নাল আবেদীন, সাং: ঢাকলহাটী, শেরপুর টাউন, শেরপুর। জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্য খাত এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। স্থুল জাতীয় উৎপাদনে এ খাতের অবদান শতকরা প্রায় ৪ ভাগ এবং কৃষির উৎপাদনে শতকরা ২১ ভাগ। জাতীয় রফতানি আয়ে মৎস্য খাতের শরিকানা শতকরা প্রায় ৪ ভাগ। আমাদের নিত্যদিনের খাদ্য তালিকায় প্রাণিজ আমিষের শতকরা ৫৮ ভাগ সরবরাহ আসে মাছ থেকে। এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকান্ডে প্রায় ১৩ লাখ শ্রমিক সার্বক্ষণিকভাবে এবং ১ কোটি ২৫ লাখ শ্রমিক খন্ডকালীনভাবে নিয়োজিত আছে। আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে, কর্মসংস্থানে, দারিদ্র্য মোচনে এবং প্রাণিজ আমিষের ঘাটতি দূরীকরণে মৎস্য খাতের উন্নয়ন নিতান্ত অপরিহার্য। তাই শেরপুর জেলাসহ দেশের আমিষ তথা, কৃষি ও কৃষিজাত দ্রব্য উৎপাদন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র বিমোচন, মাছের খাদ্য ঘাটতি পূরণ ও মাছের রেণু উৎপাদন করে নিজস্ব চাহিদা পূরণ এবং বিভিন্ন জেলায় উৎপাদিত পন্য সরবরাহ করে চাহিদা পূরণ করাই প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। আমরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মৎস্য চাষ, আহরণ, অবতরণ, প্রক্রিয়াকরণ, সংরক্ষণ ও বিপণনের মাধ্যমে নিরাপদ ও স্বাস্থ্য-সম্মত মাছের পুষ্টিমান নিশ্চিত করে থাকি। আর আমাদের অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে নিজে উন্নতির পাশাপাশি দেশের ও উন্নতি করবো বলে আশা করি।

 

 

  • সাদাত এগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিজ লিঃ
  • সোয়াদ এগ্রো  লিঃ
  • সোয়াদ ফিড মিল
  • সোয়াদ ডেইরি ফার্ম

আমাদের প্রকল্প

বর্তমানে সাদাত এগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিজ লিঃ মৎস্য প্রকল্পে ৩০টি পুকুর খনন করে মৎস্য চাষ করা হচ্ছে। যা ভবিষ্যতে আরও সম্প্রসারণ করা হবে। তেলাপিয়া,পাঙ্গাস, রুই, কাতলা, মৃগেল, কারফু, শিং, মাগুর, বাইম, গ্রাসকার্প, বাউশ, গুলশা,পাবদা, সিলভার, স্বরপুটি, ইত্যাদি মাছ প্রকল্পের বিভিন্ন পুকুরে চাষাবাদ করা হচ্ছে।

সোয়াদ ফিড মিল প্রকল্প

আবহমানকাল ধরে আমাদের দেশের নদী-নালা, খাল-বিল ও পুকুরে মৎস্যচাষ করা হয়ে থাকে। দেশের আমিষ ঘাটতি পূরণের প্রধান উৎস হলো আমাদের এই মৎস্য সম্পদ। বর্তমানে আমাদের দেশে নদী-নালা, খাল-বিলের পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে মৎসচাষ করা হচ্ছে। এই বিপুল পরিমাণ মৎস্য উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন বিপুল পরিমাণ মৎস্য খাদ্য। জেলার মৎস্য খাদ্য ঘাটতি পুরণের জন্যই শেরপুরের তরুণ শিল্পপতি ও বিশিষ্ট সমাজসেবক মোঃ সাদুজ্জামান সাদী সোয়াদ ফিড মিল নামে একটি মৎস্য খাদ্য প্রকল্প প্রতিষ্ঠিত করেছেন । সোয়াদ ফিড মিল পোনা খাবার থেকে বিক্রি উপপোগী সকল শেনীর মৎস খাদ্য উৎপাদন করে থাকে যার মধ্যে উল্যেখযোগ্য হচ্ছে ‍স্টার্টার ফিড, গ্রোয়ার ফিড, ভাসমান ফিড, হ্যাচারী ফিড, কৈ হ্যাচারী, ফিনিসার ফিড এবং ডেইরি ফার্মের জন্য গরুর খাবার তৈরি করে থাকে।

সোয়াদ ডেইরি ফার্ম

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, মানুষের প্রতিদিন ২৫০ মিলিলিটার দুধ পান করা উচিত। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের দুধ পানের পরিমাণ মাত্র ৪০ মিলিলিটার। দেশে বছরে দুধের চাহিদা প্রায় দেড় কোটি টন; অপরপক্ষে বছরে দুধ উৎপাদন হয় মাত্র ৬০ লাখ টন। চাহিদার অনুপাতে ঘাটতির পরিমাণ প্রায় ৯০ লাখ টন। উৎপাদনের রেকর্ড উপাত্ত অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে_ ২০০৯-১০ অর্থবছর দেশে দুধ উৎপাদন হয়েছিল প্রায় ২৩ লাখ ৬০ হাজার টন, ২০১০-১১ অর্থবছরে ২৯ লাখ ৫০ হাজার টন, ২০১১-১২ অর্থবছরে ৩৪ লাখ ৬০ হাজার টন যা গত তিন বছরে তা আরও ২৫ লাখ টন বেড়ে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৬০ লাখ টন। সরকারের প্রণোদনার পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগে দুগ্ধ উৎপাদনের বৃদ্ধির মাধ্যমেই দেশের সম্পূর্ণ চাহিদা মেটানো সম্ভব। সাশ্রয় হবে গুঁড়াদুধ আমদানির হাজার কোটি টাকা এবং এর সঙ্গে তৈরি হবে ব্যাপক ও বহুমুখী কর্মসংস্থান ।গাভী পালনের ফলে দেশে গরু উৎপাদন বাড়বে, এতে শেরপুর সহ দেশে মাংসের চাহিদা পূরনে সহায়ক হবে। ইন্ডিয়ান গরু নির্ভরতা কমবে। বিকশিত হবে আমাদের চামড়া শিল্প। তরল দুধের পাশাপাশি গুঁড়াদুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে দেশ। আরও একটি বিরাট পরিবেশবান্ধব লাভ আছে আর সেটি হলো_ ডেইরি ফার্ম বিকশিত হলে প্রচুর গোবর উৎপাদনের মাধ্যমে দেশে প্রাকৃতিক সারের ব্যবহার সামগ্রিকভাবে কল্যাণ বয়ে আনবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দেশে দুধ উৎপাদনে চাহিদার প্রায় ৫৮ শতাংশ ঘাটতি রয়েছে। বর্তমানে দুগ্ধ উৎপাদনের তুলনায় বিপুল ঘাটতি মেটাতে গুঁড়াদুধ আমদানিতে প্রতি বছর কয়েক হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হয়। এসব বিষয়কে মাথায় রেখে শেরপুরের তরুন শিল্পপতি ও বিশিষ্ট সমোজ সেবক মো: সাদুজ্জামান সাদী জানুয়ারী-২০১৬ সালে “সোয়াদ ডেইরি ফার্ম্” প্রতিষ্ঠা করেন।যাতে ১৩০ টি দুদ্ধজাত গাভী, ৭০ টি বকনা, ৯৫ টি ষাঁড় পালন করে আসছে যার প্রক্রিয়াজাত করন সময় চার মাস মেয়াদী। আমাদের ফার্মে প্রতিদিন ৭২০ লিটার দুধ উৎপাদিন হয় এবং মাসিক ৩০/৩৫ টি মাংসজাত গাভী বাজারজাত হয় যা শেরপুরের দুধের এবং মাংসের চাহিদা পূরন করে আশেপাশের জেলাতে সরবরাহ হয়।